মেয়র-মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, দাবি এমপি রহমতুল্লাহ’র

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মেয়র হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল, বাতাস সব চোর। এ কারণে তিনি যাননি। তাকে মন্ত্রী হওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছিল এসব কারণে তিনি রাজি হননি।

রবিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রহমতুল্লাহ এ কথা বলেন।

সরকারি দলের ওই সংসদ সদস্য বলেন, আমি কিন্তু ঢাকার এমপি। এখনকার মধ্যে মোস্ট সিনিয়র এমপি এখানে মতিয়া আপা আছেন। আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র পাঁচ-ছয় জন আছেন। আমার বয়স এখন ছিয়াত্তর চলতেছে। আমি আর ফিরোজ রশীদ একসঙ্গে পড়তাম। আমার ছেলের বয়সই ৪৯। অনেকই প্রশ্ন করে, আমি পাঁচবারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন?

রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব মারা যাওয়ার পরে মেয়র অফার করেছিলেন। আমি আপারে বললাম ওখানে যাবো না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাবো না।’

তিনি দাবি করেন, এরপর তাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এইসব কারণে সেইসময়ও রাজি হননি।

সরকারি দলের এই এমপি বলেন, আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুইটা নামই বলবো। একটা হলো এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আরেকটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলে করছে। এটারও টার্নওভার ৫শ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনও দেনা নাই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি বলবো না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলবো।