পঁচাত্তরের পর ইতিহাসকে উল্টা পথে চলানোর চেষ্টা হয়েছে: হানিফ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক'। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে 'মাইক' এর বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান হয়।

'মাইক' সিনেমার প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। পঁচাত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টা পথে চলানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জেনেছে, সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি তারা। তিনি বলেন, ‘মাইক সিনেমায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এটি ইতিহাসের মাইলফলক, ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’

৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক বা ঘোষণা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভাষণের পরই গোটা বাঙালি জাতি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতি ও  দেশ সৃষ্টি করার ভাষণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। বিশ্বখ্যাত এ ভাষণের সঙ্গে অন্য ভাষণের তুলনা হতে পারে না। এই ভাষণ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা ইতিহাস জানে। তারা জানে এই বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। এরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। তারা সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কবি অসীম সাহা, 'মাইক' চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান প্রমুখ।