সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের কার্পণ্য থাকবে না: আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, সংবিধান সমুন্নত ও সাংবিধানিক ধারা বজায় রেখে এ দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কার্পণ্য থাকবে না।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি কথা এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে চায় সংবিধানে না থাকলেও টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে শতকরা যতজন পায় আমরা তা দিতে পারি। তবে সংবিধান মেনে চলতে হবে। কথায় কথায় সংবিধান পরিবর্তনের কথা মেনে নেওয়া হবে না। অনেক কষ্ট ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ সংবিধান তৈরি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যখন আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই দেশে পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। আজ তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে হয়, তারা কোন কোন পাগল আর শিশু ঠিক করেছেন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার জন্য?’

নির্বাচন বয়কট নিয়ে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনে বাধ্য হয়ে বিএনপি নিজের মতো করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন করলো। সেই নির্বাচনে তারা দেখলো জনগণ আর তাদের সঙ্গে নেই। তারা বুঝলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আর নির্বাচন করে লাভ নেই। তখন থেকে তারা নির্বাচন বয়কটের প্রক্রিয়া শুরু করলো। এখন সেই বয়কট নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে। কিন্তু নিজেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। আবার বলে, আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে।’

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে মিয়ানমারের ওপরে আক্রমণ করতে চায়। গত বছর মার্কিন কংগ্রেসে বার্মা প্যাক্ট নামে আইন পাস হয়েছে। এটাকে বাস্তবায়িত করতে হলে বাংলাদেশের মাটি দরকার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিভিন্ন যড়যন্ত্র চলছে।’

আলোচনা সভায় আরও ছিলেন– গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ও গণ আজাদী লীগ নেতা এসকে সিকদারসহ ১৪ দলের নেতারা।