হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয় পঁচাত্তরে: আমু

বাংলাদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের সূচনা পঁচাত্তরে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, একদিকে হত্যাকাণ্ড, অন্যদিকে মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ। বোঝানো হয়েছিল, এটি একটি পরিবারকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। আড়াই মাস পরে জেল হত্যায় স্পষ্ট হয়ে যায়, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্বার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের বেনিফিসিয়ারি হলো– একাত্তরের পরাজিত শক্তি। জিয়াউর রহমান এই ঘটনার মস্টারমাইন্ড। হত্যাকারীদের পুর্নরবাসন করা, সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখে খালেদা জিয়া।

চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার অর্জন। আদালতের রায়ে, সংবিধানে একে বাতিল করা হয়েছিল। কেউ নির্বাচনে না আসলে, অন্য কেউ জিতলে, এটা বিজিত দলের কোনও অন্যায় হতে পারে না।

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে, আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়তে, শেখ হাসিনার অনেক অবদান রয়েছে। তার নেতৃত্বের এই সফলতা অনেকের গাত্রদাহের কারণ বলেই গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। মাঠের আন্দোলন আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। যারা ভয় পায় তারা বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের সব দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর অ্যাম্বাসেডর মাশফি বিনতে শামস।