যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা চেয়ে পায়নি তারেক, সে বড় গলায় কথা বলে: শাজাহান খান

বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত না করে ঘরে ফিরবে না, এমন শপথ নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান পাল্টা বলেছেন, ‘আমরাও শপথ নিয়েছি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আবারও ক্ষমতায় না বসিয়ে ঘরে ফিরবো না। জয় আমাদেরই হবে। খুনির দল বিএনপির শপথ টিকবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে বিএনপি খুশি দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা তারেক রহমানই তো ভিসানীতির শিকার। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা চেয়ে পায়নি তারেক। সেই তারেক বড় বড় গলায় কথা বলে।’

শনিবার (২৬ আগস্ট) শহীদ মিনারের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরের মতো আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘’৭১ সালে যেমন আমরা গর্জে উঠেছিলাম, ঠিক সেভাবে এখন তোমাদের গর্জে উঠতে হবে। জয় আমাদেরই হবেই। আগে জনগণ বিএনপির দুর্নীতির কথা জেনেছে, এখন জনগণ বিএনপির ভণ্ডামির কথা জেনে গেছে।’

শাজাহান খান বলেন, ‘ভাবখানা এমন যে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তারা। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। জনগণ চাইলে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন, না চাইলে চলে যাবেন।’

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করুন। ১৫ আগস্ট এলেই আইনমন্ত্রী বলেন তদন্ত কমিশন গঠন করার কথা। এরপর আর কোনও অগ্রগতির কথা আমরা জানি না। দ্রুত তদন্ত কমিশন গঠন করুন। তা না হলে আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে দেশের তরুণ প্রজন্ম।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, আজ রাজনীতিতে যে সংকট চলছে, তার মূলে রয়েছে ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন বলে খুনিদের কিলিং মিশন সম্পন্ন হয়নি। এ জন্যই ২১ আগস্ট ঘটাতে চেয়েছিল তারা।’

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাহাদুর বেপারী, রফিক কোতোয়াল, আফতাব আলী খান, ফারজানা মাহমুদ প্রমুখ।