সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশ শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা।

এদিন সকাল থেকে ঢাকার বাইরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। ফটকগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।

শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। উদ্যানের আশপাশের এলাকায় মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। ছবি: নাসিরুল ইসলাম

আয়োজকরা জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই সমাবেশে সারা দেশ থেকে পাঁচ লাখের বেশি নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থী যোগ দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা বার্তা দিতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতার আদর্শে বলীয়ান থাকবো। একই সঙ্গে খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার কোনও জায়গা ছাত্রসমাজে নেই। শেখ হাসিনার প্রতি এ দেশের সব শিক্ষার্থীর যে ভালোবাসা রয়েছে, গভীর ভাবাবেগ রয়েছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে আমরা এই সমাবেশ করবো।বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে এই তরুণদের শক্তির ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লবে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আজকের ছাত্রসমাজ আপসহীন জায়গায় রয়েছে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, এই ছাত্রসমাবেশ থেকে সারা বিশ্বে আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে।

ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে নেতাকর্মীরা

তিনি আরও বলেন, শুক্রবারের সমাবেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা উন্মুক্তভাবে শপথ নিতে চাই, দেশবিরোধী যেকোনও অপশক্তির অপতৎপরতা রুখে দিতে দেশের তরুণরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে বাংলা ট্রিবিউনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুবর্ণ আসসাইফ জানিয়েছেন, দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে, বৃষ্টিতে ভিজেই সমাবেশে আসতে দেখা যায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে।

চাঁদপুর থেকে আসা ছাত্রলীগকর্মী হাসানুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চ থেকে নামার পরই বৃষ্টি শুরু হয়। আমরা বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা না করে সদরঘাট থেকে হেঁটেই এখানে এসেছি। নেত্রী (শেখ হাসিনা) আজ ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দিবেন। উনি আমাদের মাতৃসম, উনার নির্বাচনমুখী নির্দেশনা নিয়ে ঘরে যাবো।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশমুখ দিয়ে ভেতরে ঢুকছেন নেতাকর্মীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী তূর্য দেবনাথ বলেন, ‘আমরা জিরো পয়েন্ট থেকে ভিজতে ভিজতে সমাবেশে এসেছি। বৃষ্টি হোক আর ঝড় হোক, সমাবেশে থাকবো শেষ সময় পর্যন্ত। বৃষ্টিতে অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই, পুরো ভিজে গেছি। তবু সমাবেশ শেষ করে যাবো।’

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী নাইমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সূত্রপুর থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে এসেছি। বঙ্গভবনের ওখানেই আসতেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরও আমরা থামিনি, সমাবেশে এসেছি।’