আহত পুলিশ-সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে আ.লীগ প্রতিনিধি দল

বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত পুলিশ এবং সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান দলটির নেতারা। পরে রাত ৯টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের পাশে দাঁড়ান তারা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে সংঘর্ঘের ঘটনায় নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পুলিশ সদস্য হত্যার দায়ী ব্যক্তিরা যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে রাজধানীতে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছে। দুটি পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে পুড়িয়েছে, হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। ৯ জন দায়িত্বরত সাংবাদিক বন্ধুকে হামলা চালিয়ে আহত করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। শুরু তা-ই নয়, তাদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি আমাদের চার নারী নেত্রী। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ জন আহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন আওয়ামী লীগ নেতারা

তিনি আরও বলেন, এক পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী কায়দায় ৪১ পুলিশের গায়ে হামলা চালিয়েছে। তারা হাসপাতালে ছটফট করছে। এই হামলায় যারাই জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিনিধির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেসবাউল হক সাচ্চু, আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।