আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা অসম্ভব: কামরুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা অসম্ভব। মুক্ত করার একমাত্র পথ আইনি লড়াই। যে পথে বিএনপি হাঁটে না।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে তারেক রহমানকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা কর‍তে চায়। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করতে চায় না। মুক্তি সম্ভব একমাত্র আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে। কিন্তু তারা আদালতে যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আজ তিনি (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় বাসায় বসবাস করছেন। চিকিৎসা পাচ্ছেন, নেতাকর্মীরা তারা সঙ্গে দেখা করতে পারছেন। সবই করতে পারছেন। কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়াকে আবার রাজনীতিতে আনবে, মুক্ত মানুষ হিসেবে রাজনীতিতে আনবে তার জন্য কোনও আইনি লড়াই করে না, করার মতো কোনও মানসিকতাও তাদের নাই।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে নির্বাচনে যাবো আর নিশ্চয়তা না পেলে যাবো না, এটা কোনও গণতান্ত্রিক দলের চরিত্র হতে পারে না। বিএনপির সেই চরিত্র, তাই তারা নির্বাচনে আসে না। কিন্তু আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সংসদে শক্তিশালী অপজিশন গঠন করুক, কিংবা সরকার গঠন করুক। নির্বাচনের মাধ্যমে যাই হোক হবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু তারা আসে না। তারা আন্দোলন করে, কিন্তু সফল হয়েছে তা বলা যাবে না। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করে, জ্বালাও-পোড়াও করে। এটা কোনও আন্দোলন হতে পারে না। আমরাও আন্দোলন করেছি। কিন্তু তাদের মতো জ্বালাও-পোড়াও করিনি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকে ষড়যন্ত্র করছে, মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে। বলছে, আমাদের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও ভালো আছে। আমরা ভালো আছি। করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন।’

মোহাম্মদ নাসিমের স্মৃতিচারণ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। তাকে যখন ১৪ দলের দায়িত্ব দেওয়া হলো, তিনি তখন ১৪ দলকে সক্রিয় করে তুলেছেন। ১/১১ এর সময় তাকে আটক করা হয়েছিল। তাকে অনেক নির্যাতনও করা হয়েছিল, কিন্তু নেত্রীর বিপক্ষে একটা কথাও বের করতে পারেনি। এই হচ্ছেন মোহাম্মদ নাসিম।’

বাবার স্মৃতিচারণ করে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘চার বছর হয়ে গেছে আব্বা নেই। কিন্তু তার এলাকার মানুষ এখনও ভাবে যে আব্বা বেঁচে আছেন। আব্বা এখনও তাদের নেতা। এটাই কিন্তু পাওয়া।’

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এ সময় আরও ছিলেন– ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।