শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে, তাকে শুধু লুটপাটই আখ্যা দেওয়া যায়। ডিলার নিয়োগ থেকে শুরু করে চাল বিতরণে তালিকা প্রণয়ন, বিতরণ; সবই চরমভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। গরিব মানুষের মাঝে বিতরণের কথা বলে এখন এই চালের বিপণন কার্ড পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, তাদের দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয়স্বজন, নিকটজন এবং তাদের সমর্থক ধনী ও সচ্ছল ব্যক্তিরা।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদেরও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের। তালিকা প্রণয়ণের নামে বিতরণ কার্ডও বিক্রির ভাঁওতাবাজি লক্ষণীয়। কার্ডধারী ব্যক্তিরাও এই চাল ১০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে চড়ামূল্যে চালের পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রভাবশালী মহল তা কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরকারি গোডাউনে বিক্রি করার জন্য মজুদ করছেন।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সাড়ে সাত বছর পর সীমিত সংখ্যক মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর নামে দুর্নীতি ও লুটপাট শুরু করেছে। এভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে মূলত এখন তারা লুটপাটতন্ত্রের মহাযজ্ঞ শুরু করেছে। ভাওতাবাঁজির নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিপণন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে কেবল দলীয় নেতাকমী-সমর্থকদের অবৈধ ও অনৈতিকভাবে লাভবান করে নিজেদের মসনদ চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্য নিয়েই।
/এসটিএস/এমএনএইচ/