ভারতের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রকাশের আহ্বান বিএনপির

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ দলের অন্যান্য নেতারাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকালে দেশটির সঙ্গে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো জনগণের সামনে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে দেশের জনগণ পুরোপুরি অন্ধকারে বলে মন্তব্য করেছে বিরোধী দলটি।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি বা প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হতে পারে। যদি চুক্তি বা এমওইউ স্বাক্ষরিত হয় তাহলে এ তাতে কী কী থাকবে তা জনগণের কাছে মোটেও স্বচ্ছ নয়। তারা এ বিষয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং হয়নি কিংবা ‘অনির্বাচিত’ সংসদেও আলোচনা হয়নি।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব চুক্তি ও সমঝোতার স্মারকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা ও মতামত প্রকাশের অধিকার সবার আছে। তাদের পাশ কাটিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনও চুক্তি বা সমঝোতা স্বাক্ষর মেনে নেওয়া হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদান আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। ভারত ও বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ পারস্পরিক আস্থাশীল দেখতে চায় বিএনপি। আমরা কখনও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডকে জায়গা দেবো না। একই সঙ্গে প্রত্যাশা করি ভারতও আমাদের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবে। উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক অথবা আঞ্চলিক সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান করাই বিএনপির ঘোষিত নীতি।’

এদিকে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে বিএনপি কোনও কর্মসূচি দেবে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিব।

/এসটিএস/এআর/জেএইচ/