প্রধান বিচারপতিকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে: ফখরুল

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছে ফখরুল ইসলামপ্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন, তাকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতির সঙ্গে এমন আচরণ করা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার অস্তিত্ব সংকটের ভীতিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে।’

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন,‘সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে সরকারের এমন আক্রোশমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে শক্তি প্রয়োগ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে অনুগত করার সরকারি অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে দেশবাসীকে আহ্বান জানাই।’

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের সর্বসম্মত রায় দেওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ আদালত এবং বিচারপতিকে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সরকারি দল এবং জোটের নেতাকর্মীরা অসাংবিধানিক, অযৌক্তিক ও কুৎসিত ভাষায় সমালোচনা করে চলেছেন। এমনকি জাতীয় সংসদে যে ভাষায় সর্বোচ্চ আদালত ও তার বিচারপতিদের সমালোচনা করা হয়েছে তা অস্বাভাবিক।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি বিদেশ সফর করে এসেছেন। তখন তিনি কোনও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দেশবাসী জানে না। রবিবার (১ অক্টোবর) তিনি সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে বসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ফাইল সই করেছেন। নিয়মিত প্রথা অনুযায়ী, সব বিচারপতিকে নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও দিয়েছিলেন। অথচ গতকাল (মঙ্গলবার) আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, তিনি নাকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছুটি নিয়েছেন।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।