মওদুদ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি তো একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ধূলিসাৎ করেছে। প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার আগে তার বাস ভবনের সামনে গতকাল একটা লিখিত বক্তব্য দিয়ে গেছেন। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে আজ দু’টি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে- তার মধ্যে একটি হলো দুই অক্টোবর লেখা আইনমন্ত্রী যে চিঠি দেখিয়েছেন সে চিঠি প্রধান বিচারপতি লেখেননি এবং তিনি তাতে সইও করেননি। আরেকটা হলো প্রধান বিচারপতি কখনোই অসুস্থ ছিলেন না। তিনি সুস্থ ছিলেন সে কথাই জাতির কাছে বলে গেছেন।’
বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘দুই অক্টোবরের লেখা প্রধান বিচারপতির যে চিঠি দেখানো হয়েছিল। সেটা ছিল একটি ভুয়া চিঠি। আইনমন্ত্রী যে চিঠিটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) দেখিয়েছিল তাতে ছয়টি বানান ভুল ছিল। চিঠিতে তার (প্রধান বিচারপতি) সই কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা গেছে।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এর প্রতিক্রিয়া হবে গভীর। এটা কখনও কল্পনা করা যায় না। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনি সহায়তা না নিয়ে রিভিউ করার সুযোগ থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান সরকার স্বাধীন বিচার বিভাগে বিশ্বাস করে না। সেটাই বিচারপতি সিনহা কাল যাওয়ার সময় নিশ্চিত করে গেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্ট করে বলেছেন, আমি স্বেচ্ছায় যাচ্ছি। কালকে উনি অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। ওনার কথাটা জাতির কাছে তুলে ধরেছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে কিনা সেটা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি কিন্তু এ কথাও বলেছেন তিনি থাকলে আরও বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হবে এ কারণেই তিনি চলে গেছেন।’ এতে তিনি চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এ আইনমন্ত্রী।