শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘বিগত আওয়ামী শাসনামলে অনেক দলীয় ক্যাডারকে লাইসেন্সে ও বিনা লাইসেন্সে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। এখন ভোটগ্রহণের দিন আওয়ামী লীগের অনুকূলে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে সেই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার হবে। সুতরাং সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দিলে ভোট-সন্ত্রাস রোধ করা যাবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রধান বাধা। জনগণের দাবি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার। এর বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনগণের কাছে শুভবার্তা দেয়নি। যাই হোক, আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের দাবি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছে, এটি আওয়ামী লীগের বিষয়। এখন নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। জনগণ চায়, নির্বাচন কমিশন যেন আওয়ামী লীগের হাতে বন্দি হয়ে না পড়ে। তারা যেন তাদের সাংবিধানিক স্বায়ত্ত্বশাসন প্রয়োগ করে সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফেরার আগে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
আরও পড়ুন-
ইসিতে আ.লীগের দেওয়া প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাধা: মওদুদ
সিইসিকে সতর্ক হয়ে কথা বলার পরামর্শ আ. লীগের