আ. লীগের নাগরিক সমাবেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের আনা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুলবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হয়েছে, এটা আনন্দের কথা। এ উপলক্ষে সমাবেশ করছেন, তাও আনন্দের কথা। কিন্তু সকাল থেকে দেখলাম স্কুলের বাচ্চাদের বাসে করে নিয়ে আসা হচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে মাওলানা ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। মাওলানা ভাসানী স্মৃতি সংসদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জিয়াউল হক নিলু।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা শিক্ষকদের বলছেন, না আসলে বেতন কাটা যাবে। ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন কর্মচারীদের। তাদের বলা হয়েছে, সমাবেশে না আসলে ৫ দিনের বেতন কাটা যাবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়া উপলক্ষে শনিবার বেলা আড়াইটায় নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, ‘নাগরিক সমাবেশের আদলে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সমাবেশ করছে।’

তিনি বলেন, ‘কিছু দিনের জন্য ক্ষমতায় থেকে আনন্দে আছেন। যা ভাবছেন তা হবে না। বিএনপিকে ছাড়া এদেশের মানুষ আর কোনও নির্বাচন গিলবে না,মেনে নেবে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষ সব রাজনৈতিক দলকে আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। তারা নিজেরা ভোট দিয়ে সরকারের পরিবর্তন করতে চায়, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তবে এটা সম্ভব একমাত্র নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায়।

আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে? যে সংবিধান আপনারা তৈরি করেছেন অনির্বাচিত সংসদে।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু নির্বাচনের আগে ৯০ দিন নিরপেক্ষ থাকবেন তা হবে না। একদিকে হেলিকাপ্টারে করে নির্বাচনি প্রচার চালাবে আর অন্যদিকে বিএনপি চেয়াপারসনসহ আমরা যারা বিরোধী রাজনৈতিক দলে আছি তারা প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় থাকবো সেটা হবে না। লোক দেখানো নিরপেক্ষা দেখালে চলবে না।’

তিনি বলেন, ‘আজ সবকিছু বদলে গেছে। বদলে গেছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা, তৈরি হয়েছে ক্ষমতায় যাওয়া আসার বৃত্ত।’