শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ করুন এবং মানহানিকর মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা করতে আমরা বাধ্য হবো। প্রধানমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শুধু রাজনীতিকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে রাজনীতিবিদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করবে।’
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘আমরা আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এই ধরনের মানহানিকর মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেন। সৌদি আরবে তার অবৈধ সম্পদ ও তাকে ক্ষমা করাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। খালেদা জিয়া বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশে সম্পদ পাচার বা বিনিয়োগের কোনও তথ্য প্রমাণ নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য তার রাজনৈতিক দেউলিয়া, প্রতিহিংসা পরায়ণতা, রাজনৈতিক সংকীর্ণতা, অন্তসার শূন্যতার প্রমাণ করে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কাঁচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়বেন না। উন্নয়ন, মেগা প্রজেক্টের নামে যে মেগা লুট করছেন তা জনগণ জানেন। পদ্মা সেতু প্রকল্প, রূপপুর আণবিক শক্তি প্রকল্প, পায়রা বন্দর, এক্সপ্রেসওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভিওআইপি, স্যাটেলাইট স্টেশন, প্রতিটি সেতু, সড়ক, মহাসড়ক, প্রতিটি আন্তর্জাতিক টেন্ডারে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের যে অভিযোগ উঠছে জনগণ তা হিসাব নিচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এদেশের ও বিদেশের পত্র-পত্রিকায় আপনাদের দলের মন্ত্রী, নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। ফ্লোরিডা, ওয়াশিংটন ডিসি ও কানাডাসহ ব্যয়বহুল শহরগুলোয় কাদের সন্তানদের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বাড়ি ও সম্পদ কেনা হয়েছে তার হিসাব জনগণ রাখছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।