‘ডিএনসিসি উপনির্বাচন স্থগিতে আ.লীগের পরাজয়ের শুরু’

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেনঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের শুরু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ জানতে পেরেছে, জনগণের ভোট দেওয়ার সুযোগ হলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। তাই নিজেদের লোক দিয়ে হাইকোর্টে রিট করিয়ে উপনির্বাচন স্থগিত করিয়েছে সরকার। এই নির্বাচন স্থগিত হওয়াটা তাদের পরাজয় শুরু।’
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন কেউ রুখতে পারবে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে জয় লাভ করবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশবাসী দেখবে।’
জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন অবদান প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাকশালের খাঁচা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করেছিলেন। এখন গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি। তাই আজকে সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে নেমেছে। জিয়াউর রহমানের জীবনের অর্জন তিনটি- তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের সংগঠক। তিনি আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সমাজভিত্তিক করে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ তখন তলাবিহীন ঝুড়ি ছিল। জিয়াউর রহমান খাল কেটেছেন, রাখাল রাজা হয়েছেন। ঢাকায় যখন তার জানাজা হয়, তখন মানুষের ঢল দেখে বোঝা যায়, জিয়াউর রহমান কতটা সফল ছিলেন। জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবারকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। কারণ উন্নত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে জিয়াউর রহমানের অবদান নেই।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরবিক্রম প্রমুখ।