মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন— ‘প্রশ্নফাঁস নিয়ন্ত্রণে শিক্ষামন্ত্রীর (নুরুল ইসলাম নাহিদ) কিছু করার নেই। আপনারা একজনের নাম বলেন, আমরা ধরে শাস্তি দিয়ে দেবো।’ এই কথার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় তিনি প্রশ্নফাঁসকে সমর্থন করেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এই সরকার।”
সরকার বিচার বিভাগ নিজের হাতে তুলে নিয়েছে এমন অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তার ভাষ্য, ‘বিচার বিভাগ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। সেই বিচার বিভাগকে ক্ষমতাসীনরা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা আগেই প্রশ্নফাঁস হচ্ছে। ব্যাংক ব্যবস্থা ও শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের সম্মুখীন। তাদের কোনও বিচার হয় না। হাজার হাজার টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে, এর কোনও বিচার নেই।’
বিএনপি মহাসচিব জানান, গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে ৭০০ জন। তার দৃষ্টিতে গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। তিনি বললেন, ‘বিএনপির কোনও নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে পারছে না। মামলার হয়রানির কারণে অনেকেই গ্রামছাড়া। মামলা থেকে নাম সরানোর জন্য সবকিছু বিক্রি করে টাকা দিতে হয়।’
এর আগে মানববন্ধনে বিএনপির এই রাজনীতিবিদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত নির্জন কারা প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য যে নেত্রী সংগ্রাম করেছেন তাকে কারাগারে রেখেছে অবৈধ অনৈতিক সরকার। বিএনপি যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্যই তার সঙ্গে এই প্রতিহিংসা। আন্দোলন চালিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে আমরা মুক্ত করে নিয়ে আসবো। মানুষের বুকে পাহাড়ের মতো চেপে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারকে অপসারণ করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’