খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতি হচ্ছে: ফখরুল

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। এতে বিএনপি ও দেশবাসী উদ্বিগ্ন।’

নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার (২১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অনেকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা এবং ১৮ এপ্রিল আমিসহ স্থায়ী কমিটির আরও দুই নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষ এর সুস্পষ্ট কোনও কারণ দেখাননি। প্রায় ১০ দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা। এতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার কর্তৃক গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বিবিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। সেখান একজন অর্থোপেডিককে দেখানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ এখনও তা করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি খালেদা জিয়া বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে এক্যুইট রিউমেটিক আর্থারাইটিস তাকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে। অবিলম্বে আমরা তার পছন্দের ইউনাইটেডসহ বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। খালেদা জিয়ার কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা বিশেষ করে এমআরআই পরীক্ষা করা জরুরি প্রয়োজন হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্পষ্ট কথা আমাদের ও জাতির সামনে তুলে ধরেননি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করতে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে, যাতে তিনি এবং বিএনপি নির্বাচনের বাইরে থাকে।’