মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়া নাগরিক সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আমির খসরু মাহমুদ।
আলোচনা সভায় আমির খসরু বলেন, ‘গণতন্ত্র যখন নাজিমুদ্দিন রোডে বন্দি, তখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই। নির্বাচনের প্রশ্নই তো আসার কথা না। তারা যেসব কাজ করছে, তাতে নির্বাচনের জন্য থাকা সামান্য বিশ্বাসটুকুও আজ সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই করছে এটা। নির্বাচনের সুযোগ থাকলে অন্য দলকেও জায়গা দিতে হবে। এটা আর কেউ না বুঝলেও আওয়ামী লীগ ঠিকই বুঝে। তারা জানে, ওই জায়গাটুকু দেওয়া হলে তারা বিপুল ভোটে পরাজিত হবে। তাই তারা সেই জায়গাটুকু সংকীর্ণ করতে করতে এটাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বাইরে রেখে, গণতন্ত্রের মাকে কারাগারে রেখে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার দিকে চলছে।’
কোনও গণতান্ত্রিক দলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, দলীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলা গণতান্ত্রিকভাবে করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই দাবি করে বিএনপির স্থানীয় কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘স্বৈরশাসক ও একদলীয় শাসককে পরাজিত করা সম্ভব। সেটা বাংলাদেশে হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হয়েছে। জনগণের শক্তিতেই হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের একতাবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেকের মনে প্রশ্ন আছে— তারা রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস দিয়ে সবকিছুকে দমন করছে। এই অবস্থায় কি আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হওয়া সম্ভব? তাদের জন্য বলব, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস যদি দেখেন, রাষ্ট্রীয়-দলীয় সব সন্ত্রাসকে পরাজিত করেছে গণতান্ত্রিক আন্দোলন। কোনও সন্ত্রাসই জাগ্রত জনগণের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারে না। সরকার এই ভয়েই গণতন্ত্রের মাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।’
আরও পড়ুন-
ব্রিটেনে যেভাবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পান তারেক রহমান
নির্বাচন নিয়ে ভারতের নাক গলানোর কিছু নেই: ওবায়দুল কাদের