‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে কোন আদালতের নির্দেশে স্থগিত হবে আল্লাহ জানেন’

01বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন যদি বিএনপিকে বাদ দিয়ে করা যায় তাহলে সব ঠিক আছে। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে যায় তাহলে আবার কোন আদালতের নির্দেশে স্থগিত হবে আল্লাহ জানেন। রবিবার ( ৬ মে) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া সাইবার ফোরস আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।



নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনও নির্বাচনে হারতে চাচ্ছে না এই সরকার। নির্বাচনে পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে নানা কৌশলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গাজীপুর এই ব্যবস্থার শেষ সংস্করণ। তারা খুব ভালো করে জানে যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের বিজয়ের কোনও সম্ভাবনা নাই।’
আওয়ামী লীগের কেন এই করুণ দশা প্রশ্ন তুলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা আজকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পাচ্ছে। তারা ভয় পাচ্ছে জনগণকে, যারা ভোট দেওয়ার মালিক। কারণ একটাই, সেটা হলো তারা জনগণের প্রতি সুবিচার করে নাই। এদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল গণতন্ত্রের জন্য। তারা (আওয়ামী লীগ) বারবার এই গণতন্ত্রকে আহত করেছে, নিহত করেছে। শুধু নিজেরা করেছে তা না, অন্য যারা করেছে তাদের নিজেদের সাথী বানিয়ে নিয়েছে। প্রতিপক্ষ মনে করে বিএনপিকে। কারণ তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আর বিএনপি সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।’
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারা ঘনিষ্ঠভাবে তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে থাকেন তারা জানেন, উনাকে কখনও অসুস্থ নাকি জিজ্ঞেস করলে ক্ষেপে যেতেন। অসুস্থ থাকলেও তিনি বলতেন ভালো আছি, কোনও অসুবিধা নেই। সেই মানুষটি সেদিন দেখাচ্ছিলেন আমাদের যে তিনি হাত নাড়াতে পারছিলেন না। বাম হাতটা নাকি অবশ হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের রোগীদের অর্থোপেডিক বেড দেওয়া হয়। তার এই কষ্ট দূর করার জন্য আমি নিজে দুবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি। দ্বিতীয়বার আমি যখন সাক্ষাৎ করি, তখন তিনি আইজি প্রিজনকে ডেকে নিয়ে এলেন। নিয়ে এসে ওনাকে বললেন, খালেদা জিয়া যেখানে চিকিৎসা করাতে চান সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আমরা শুনেছি জেলখানা থেকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার ফাইল পড়ে আছে। সরকার খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার অনুমতি দেয় না।’ অমানবিক আচরণ করছে সরকার। আমরা তার নিন্দা জানাই।’