গাজীপুরে খুলনার মতো নির্বাচন করা যাবে না: মোশাররফ

আলোচনা সভায় বক্তারাখুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুরে একই ধরনের নির্বাচন সরকার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

শুক্রবার (২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীলনকশা আপনারা খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখেছেন। খুলনায় দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করেছে। এখন গাজীপুরেও একই নীলনকশা তারা করছে। তবে খুলনায় যা করেছে গাজীপুরে তা করতে পারবে না। কারণ, গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়। খুলনার অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারের কূটকৌশল প্রতিহত করতে আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকবো।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পতন করা আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু। আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে কী ধরনের আন্দোলন হবে। নরম আন্দোলন হবে না গরম আন্দোলন হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাদেশে এখন একটি মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ জানে মাদকের মূলহোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদকের ব্যবসা করে। কোন এমপি, কোন মন্ত্রী এই ব্যবসা করে সব তারা জানেন। প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রছায়া ছাড়া কোনও মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারেন না। একই সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। অথচ তাদের গ্রেফতার করছে না। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বারবার যান। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা-মরার সমস্যা হলো তিস্তার পানি। সেই পানি  কোনও আলোচনায় আনতে পারেন না। কোনও দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। এজন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনও ষড়যন্ত্র করছেন কিনা। এবার যদি তিস্তার পানিচুক্তি নিয়ে ভালো কোনও খবর আনতে পারেন তাহলে মনে করবো আপনার সফর যৌক্তিক।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ড্যাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম, ড্যাব সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলামসহ অনেকে।