রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়ি নদীর মতো কথা বলার স্রোত। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনর্গল সমালোচনা করতে তিনি অক্লান্ত। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তিনি কিছুই করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সংশয় হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আপনি তো পারবেন না এজন্যই যে, পথের কাঁটা নিষ্কন্টক করতেই তো তাকে কারাবন্দি করেছেন।’
শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন বাংলাদেশ চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। সেজন্য আপনার প্রয়োজন একতরফা নির্বাচন করা, আর এই নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘১/১১ এর সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পাঁচটি মিথ্যা মামলা দিয়েছিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। আর আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিরুদ্ধে দিয়েছিল ১৫টি। আপনার বক্তব্য অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মামলা যদি সত্য হয়, তাহলে আপনারগুলো মিথ্যা হবে কেন? আপনার সব মামলা মিলিয়ে তো আপনার একশ বছরের বেশি জেল হওয়ার কথা।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজনের ক্রুদ্ধ প্রতিহিংসার শিকার। ভুয়া নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলাতে তার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। শেখ হাসিনার নির্দেশেই তিনি কারাগারে। এই বন্দিশালার চাবি রয়েছে শেখ হাসিনার হাতে, অন্য কোথাও নয়।’
৩০ জুলাই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন মহল একটা ধুলিঝড়ের সৃষ্টি করে ভোট সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির নতুন নতুন মডেল আবিষ্কার করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভীর। তিনি বলেন, ‘তিন সিটিতে নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগ আসতে থাকে। পাশাপাশি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী, সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘সরকার খুলনা-গাজীপুর নির্বাচনের মতোই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের ভোটার ও পোলিং এজেন্টশূন্য করার এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। সরকারের নির্দেশে তিন সিটি করপোরেশনে একপেশে নির্বাচন করার ডিজাইনারের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন।’
প্রশাসন ও ইসির ওপর ভরসা রাখতে পারছে না জনগণ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘যদি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে তাহলে বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতো ভোটা পড়বে ধানের শীষে।’