‘পছন্দের চিকিৎসক ছাড়া মেডিক্যাল বোর্ড গঠন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তামাশা’

রুহুল কবির রিজভী, ফাইল ছবিখালেদা জিয়া ও তার পরিবারের পছন্দের চিকিৎসক না রেখে সরকার দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন কাজ দুরভিসন্ধিমূলক। খালেদা জিয়ার মতো একজন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে তামাশা।’
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অবৈধ সরকার তাকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রেখেছে। সেজন্য দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। তার বিরুদ্ধে সরকারের দেওয়া মামলা জনগণ বিশ্বাস করে না।’
তার অভিযোগ, ‘বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে দুর্দশায় ফেলতে চক্রান্ত চালাচ্ছে। সরকারই ঠিক করে দিচ্ছে কারা হবেন তার চিকিৎসক। ক্ষমতাসীনদের অনুগত চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রথমে শেখ হাসিনাকে রিপোর্ট করবেন। তারপরে শেখ হাসিনা যা বলবেন সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ডাক্তারদের দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন দুরভিসন্ধিমূলক। গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা নিয়ে এটি এক চরম তামাশা।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দেওয়ার পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘এই আইনে কোনও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা যাবে না। সরকারের কোনও দুর্নীতিই প্রকাশ করা যাবে না। যদি প্রকাশ করা হয় তাহলে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে অপরাধী হয়ে যাবে। এটা শুধু চরম উদ্বেগজনকই নয়, এটি সংবিধানের মূল নীতির পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই-এই কালো আইন পাস করা যাবে না। দল, মত নির্বিশেষে সব মানুষকে এই কালো আইনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহদফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।