বিএনপির দফা জটিলতা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় দলের নেতাকর্মীরা (ছবি: ফোকাস বাংলা)জনসভায় ঘোষিত সাত দফা দাবি ও ১২টি লক্ষ্য নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বিএনপিতে। রবিবার বিকালে জনসভার শেষে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আমাদের দফা সাতটি, লক্ষ্য ১২টি। তিনি এসব দাবি ও লক্ষ্য ঠিকঠাক ঘোষণা করলেও সন্ধ্যার পর তৈরি হয় জটিলতা। চেয়ারপারসনের মেইল থেকে প্রথম দফায় সাত দফা দাবি ও ১২ লক্ষ্য পাঠানো হলেও সেখানে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি যুক্ত হয়নি। যদিও মহাসচিব মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে পরিষ্কার করেই বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। বক্তব্যে ইসি পুনর্গঠনের বিষয়টি ছিলো নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের দাবিটির পর।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মেইল থেকে সংশোধনী দেওয়া হয়। তালিকায় দেখা গেছে, দফা একটি বেড়ে আটটি হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি চার নম্বরে এবং ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না, সেটি এসেছে ৬ নম্বরে।

 পরে সাড়ে সাতটার দিকে আবারও মেইল করে জানানো হয়, দফা আটটি নয়, সাতটিই। এতে দেখা গেছে, ৪ নম্বর দফায় যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ইসি গঠনের পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহার না করার দাবিটিও যুক্ত করা হয়েছে।

এরই মধ্যে আরও একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানানো হয়, ৬ নম্বর দফায় ইসি পুনর্গঠনের বিষয়টি যুক্ত হবে। যদিও পরে কোনোটিই সত্যি হয়নি।

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দফা সাতটিই দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যা ঘোষণা করেছে, সেটির সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। এটা টেকনেক্যালি ত্রুটি হয়েছে।’

চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদারও বলেন, ‘দফা সাতটিই। সর্বশেষ সংশোধনী পাঠানো হয়েছে।’