কানাডার অভিবাসন সংস্থা বিশ্বাস করে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত

 

বিএনপিকানাডার অভিবাসন সংস্থা বিশ্বাস করে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং সে কারণে দলটির নেতাকর্মীরা ওই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে চরম বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে। গত দুই বছরে অন্তত ছয় জন বিএনপি নেতা-কর্মীর অভিবাসন সংক্রান্ত মামলায় দেশটির আদালত রায় বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, সব কটি মামলায় অভিবাসন কর্মকর্তা তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এসব আবেদন প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে তারা বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছে।

সর্বশেষ, এবছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপি কর্মী আলম বনাম কানাডা মামলার রায়ে দেশটির আদালত অভিবাসন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘ বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, জড়িত ছিল বা জড়িত হতে পারে এমন ধারণার যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছেন অভিবাসন কর্মকর্তা।’

কানাডার ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ক্রিনিং ডিভিশনকে উদ্ধৃত করে আদালত তার রায়ে বলেছে, ‘বিএনপি সহিংস প্রতিবাদ, সমাবেশ, বোমা আক্রমণ এবং মারধর ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত যেগুলো সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে প্রতীয়মান হয়।’

প্রায় একই ধরনের মন্তব্য দেখা গেছে অন্য আরও পাঁচটি মামলায়। বিএনপি কর্মীদের কানাডায় আশ্রয় চেয়ে করা এসব মামলায় অভিবাসন কর্মকর্তাদের মন্তব্য মোটামুটি একই রকম। অন্য মামলাগুলো হচ্ছে কামাল বনাম কানাডা (২০১৮), একে বনাম কানাডা (২০১৮), এসএ বনাম কানাডা (২০১৭), চৌধুরী বনাম কানাডা (২০১৭) এবং গাজি বনাম কানাডা (২০১৭)।

কামাল বনাম কানাডা মামলায় কানাডার পাবলিক সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস মন্ত্রী তার শুনানিতে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আবেদনকারী বিএনপির একজন সদস্য এমন মনে করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন যে বিএনপি এমন একটি সংগঠন যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাডায় দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমার সময়ে এ ধরনের কোনও কিছু ছিল না।’

২০১২ সালে ঢাকায় ফেরত আসা কূটনীতিক বলেন, এটি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে বলে মনে হয়।