আংশিক ওই নামের তালিকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইজুল ইসলাম টিটু, আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দীন জিয়া, শরিফুল ইসলাম লিটন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ডায়েরি ও মামলার তালিকা জমা দেওয়ার জন্য বলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আংশিক তালিকা পাঠানো হলো।
চিঠির বক্তব্য এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘শুভেচ্ছা নেবেন। গত কয়েক বছর ধরে বিএনপির জাতীয় নেতারাসহ দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিকভাবে হাজার হাজার মিথ্যা, উদ্ভট, গায়েবি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে, যা গতকাল (মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ) পর্যন্ত অব্যাহত আছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক হারে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠাচ্ছে এবং রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ও অমানবিক ঘটনা নিঃসন্দেহে গভীর উদ্বেগজনক। ন্যূনতম কোনও সত্যতা কিংবা প্রমাণ না থাকলেও নেতাকর্মীদের এ ধরনের বানোয়াট ও হাস্যকর মামলায় প্রতিনিয়ত জড়ানো হচ্ছে। আশ্চর্য হলেও সত্যি, বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের মৃত কিংবা দেশের বাইরে অবস্থানরত ব্যক্তিদেরও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা গায়েবি মামলার তালিকা পাঠানোর জন্য বলেন। এরই আলোকে দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা উল্লেখপূর্বক আংশিক তালিকা পাঠানো হয়েছে। মামলার তালিকা মোতাবেক গায়েবি মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে এসব মামলা প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত আরও তালিকা পাঠানো হবে।’
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আংশিক তালিকা জমা দিয়েছি। জমা দেওয়া তালিকায় ১ হাজার ৪৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছে ৫ হাজার ২৭৪ জন। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামির সংখ্যা ৯৬ হাজার ৭০০ জন, অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার।’