রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল অর্থই হচ্ছে, স্বচ্ছ নির্বাচনি ব্যবস্থার ১২টা বেজে যাওয়া। সন্ত্রাসীদের দূর্গ আওয়ামী লীগ কখনোই প্রতিযোগিতামূলক অবাধ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। নিজেদের স্বার্থে যখন যা ইচ্ছা তাই তারা করতে পারে।’
অবৈধ ক্ষমতাসীনরা জনগণের দাবি মানছে না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ৭ দফা দাবিকে অগ্রাহ্য করেই একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে বিনা কারণে নিপীড়ন করতেই দেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার প্রতিশোধ গ্রহণের পার্সোনাল খোয়াড়ে পরিণত হয়েছে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালাতেই নিম্ন আদালত পার্টি ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে উত্তাল আন্দোলনকে বিজয়ের পথে ধাবিত করবেই।’
রিজভী আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার বা নির্বাচনি মাঠ সমতল করার কোনও গরজ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নেই। আর সেজন্যই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার স্বার্থে একতরফা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করে কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণায় সারাদেশের ভোটারদের মুড-অফ, দেশের জনগণ নির্বিন্ন ও হতাশ।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি কীভাবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, নতুন মামলা দেওয়া হবে না ও গ্রেফতার করা হবে না। যেদিন বলেছেন, ঠিক সেই রাত থেকেই আরও বেশি মামলা ও গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এমনকি সিইসি তফসিল ঘোষণার সময় বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি না করতে, রাজনৈতিক মামলা না দিতে। কিন্তু শুধু গতকালই বিরোধী দলের ৩০০ শত অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের হচ্ছে নতুন নতুন মামলাও।