‘প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বিএনপির ৪২৫ জনকে আটক, ১৫ মামলা’

রুহুল কবির রিজভীবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দাবি করেছেন, ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তার দলের ৪২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক ও ১৫টি মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি আরও জানান, গত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে মামলার সংখ্যা ১৫৮টি ও গ্রেফতারের সংখ্যা ২৪১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং আওয়ামী হানাদারদের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। এই অবৈধ সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে হামলা গ্রেফতার বাড়িয়ে দিয়েছে। টিকে থাকার জন্য শেষ মরণকামড় দিচ্ছে এখন।’

রিজভী দাবি করেন, ‘গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, আইজিপি সব ডিআইজি ও এসপিদের ঢাকায় তলব করেছেন আজ। বিএনপির আড়াই লাখ নেতাকর্মীর একটি তালিকা করেছে পুলিশ। ডিআইজি এবং এসপিদের সঙ্গে বৈঠকের পর চিরুনি অভিযান চালিয়ে ওইসব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নির্বাচনি মাঠ ফাঁকা করা হবে। মূলত শত বাধা বিপত্তি-গ্রেফতার-হামলা উপেক্ষা করে চারদিকে ধানের শীষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে থামিয়ে দিতেই এই অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাঁচ বছর ঢাকায় আরাম আয়েশে লুটপাট করে কাটিয়ে এখন নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে চরম প্রতিকূলতায় পড়েছে নৌকার প্রার্থীরা। দিকে দিকে জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। ভোট চাইতে গিয়ে ভোটারদের রোষের মুখে পড়ছে। দলীয় সন্ত্রাসী আর পেটোয়া বাহিনী দিয়ে সাধারণ জনগণকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। সময় এখন জনগণের। অব্যাহত মামলা-হামলা, গুম-খুন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে জনগণের রায় এখন প্রতিফলিত হবে। আমরা নিশ্চিত, এবার সরকারি সব বাধা অতিক্রম করে সারাদেশে সাহসী জনতা ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবেই ইনশাআল্লাহ।’