মনে হচ্ছে ধানের শীষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আলাল

মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে অভিযোগ করে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, মনে হচ্ছে ধানের শীষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, প্রটোকল দিচ্ছে। আমাদের যাকে খুশি তাকে ধরছে। আমাদের ওপর আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাচ্ছে। পেটাচ্ছে, গ্রেফতার করছে।’ বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তারা কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও কমিশন সাক্ষাৎ না দিয়ে আধঘণ্টা বসিয়ে রেখে ডেস্কে রিসিভ করেছে। অবশ্য কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসি সচিব অন্য একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় প্রথমে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। পরে অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আলাল বলেন, ‘আমাদের গাজীপুরের প্রার্থী ফজলুল হক মিলনকে কিছুক্ষণ আগে তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরায় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনি প্রচারণা সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। লোকজনকে মারধর করে সভাটিকে পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশেই এ ধরনের ঘটনা কমবেশি চলছে। এ বিষয়গুলো লিখিত আকারে কমিশনকে বলেছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিছু অনলাইন ওয়েভ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয় আবার প্রত্যাহার করা হয়। আবার বন্ধ করা হয়। বিএনপি বাংলাদেশ ডটকম পোর্টালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সাইটটি ওপেন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ দেওয়া হোক।’

আলাল আরও বলেন, ‘জোটবদ্ধ দলসমূহের প্রার্থীরা তাদের পোস্টারে যাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ছবি ছাপাতে পারে সেই বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছে।’

এখনই সেনা মোতায়েন দাবি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গ্রেফতারের বিষয়ে বারবার বললেও কোনও লাভ হচ্ছে না। আমাদের পেটানো ও সভা বন্ধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্য আমরা এখন থেকে সেনা মোতায়েন চেয়েছি। প্রথম থেকেই আমাদের দাবি ছিল—ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন করার। সেই সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে প্রথমে বলা হলো ১৫ ডিসেম্বর। পরবর্তীতে বলা হলো ২৪ ডিসেম্বর। সেটাও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। আমাদের দবি হচ্ছে— যদি আমাদের নির্বাচন করার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে থাকে, তাহলে এই মুহূর্ত থেকে মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হোক, যাতে আমাদের প্রার্থী ও ভোটাররা একটু হলেও নিরাপদ বোধ করেন। এত নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নির্বাচনে যাওয়াটা আসলেই দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতই সময় গড়াচ্ছে ততই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমাদের ওপর শারীরিক আক্রমণ বাড়ছে।’