তিন বছরে দুই লাখ লোককে সরকারি চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকার বিএনপির

ইশতেহার ঘোষণা করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ছবি নাসিরুল ইসলাম)একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঘোষিত বিএনপির ইশতেহারে প্রথম ৩ বছরে দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দুই লাখ লোককে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইশতেহারে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ ১৯ দফা বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনি ইশতেহার পাঠ করেন।

বিএনপির ইশতেহারে গুরুত্বারোপ করা ১৯ দফার অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, যুব নারী ও শিশু, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, জ্বালানি, তথ্য ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ, কৃষি ও শিল্প, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ফান্ড প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ, পররাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ।

ইশতেহার ঘোষণাকালে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী ও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

‘ভিশন ২০৩০’-এর আলোকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করেছে বিএনপি। ‘এগিয়ে যাবো একসাথে, ভোট দেবো ধানের শীষে’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচন উপলক্ষে দলটির ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।

এবারের ইশতেহারে তরুণ প্রজন্মের ভোটার টানতে তাদের বিভিন্ন চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের সাম্প্রতিককালের দাবি- কোটা সংস্কার, ভ্যাটমুক্ত শিক্ষা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ‘প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’-স্লোগানে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ অনেক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়। সব ধরনের প্রতিশ্রুতি সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে পূরণের আশ্বাসও দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।