খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে দিচ্ছে না: রিজভী

রুহুল কবির রিজভীবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকট আত্মীয়দের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত ২১/২২ দিন ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকট আত্মীয়দের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্দিদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে তাকে।

সোমবার (৭ জানিুয়ারি) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া নিষ্ঠুর আচরণ বলে অভিহিত করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী? বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে রুদ্ধকপাট মুক্তিহীন তাকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার যে কারাবিধান সেটিকে গায়ের জোরে লঙ্ঘন করাটা খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের আরেকটি নতুন কোনও খারাপ পরিকল্পনা কিনা তা নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।’

পৃথিবীর কোনও নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দিদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয় না বলেও দাবি করে রিজভী বলেন, ‘তার একান্ত সচিব, আত্মীয়স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতারা সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারা কর্তৃপক্ষ তাতে কানই দিচ্ছেন না। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ তার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পর পর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।

খালেদা জিয়ার ওপর এই মানসিক নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নানাভাবে পর্যুদস্ত করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারাই অংশ বলে মনে করছেন বিএনপির এই নেতা।

রিজভীর অভিযোগ, নির্বাচন পূর্বাপর ব্যাপক সহিংসতা, রক্তপাত, ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর গুলি, নেতাকর্মী-সমর্থকদের নির্বিচারে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করাসহ ধানের শীষের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার, আদালতকে ব্যবহার করে প্রার্থিতা বাতিলসহ ভোটের নামে নিষ্ঠুর তামাশায় শুধু দেশবাসীই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার।