খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসার দাবি বিএনপির





সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদ জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থার ভয়াবহ অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে সরকারের কাছে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তার পছন্দ অনুযায়ী দেশে অথবা বিদেশে যেখানে তিনি চিকিৎসা করতে চান, সেখানেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

গত ১৭ মাসে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ভয়াবহ অবনতি হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে যাওয়ার সময় অত্যন্ত সুস্থ অবস্থায় পায়ে হেঁটে গেছেন। এখন তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারছেন না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জিহ্বায় আলসার হয়েছে। তার ৩টা দাঁত ক্ষয় হয়ে গেছে। এই কারণে কষ্ট হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে তার দাঁতের চিকিৎসা প্রয়োজন। কয়েকটি দাঁত ফেলেও দিতে হবে।’

খালেদা জিয়ার শরীরের ওজন কমে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে ৪ কেজি ওজন কমে গেছে। এটি একটি সর্তকবার্তা। এখন আপনার খালেদা জিয়াকে দেখলে চিনতে পারবেন না। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না।’

একজন প্রথম শ্রেণির কয়েদির সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারচেয়ে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এটা অমানবিক, আমরা কোনোভাবে এটা মেনে নিতে পারি না।’

খালেদ জিয়া সঙ্গে সরকারের এমন আচরণের উদ্দেশ্য কী, প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তার সঙ্গে এমন আচরণ করে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কি তার জীবনের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো এখন মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে।’

খালেদ জিয়ার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা প্রাপ্য মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা খুব দ্রুত তার মুক্তি চাই, যা তিনি প্রাপ্য। সরকার প্রত্যেকবার তার জামিনে বাধা সৃষ্টি করছে।’

গত এক সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস ১৮-২০-এর নিচে নেমেছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইনসুলিন ব্যবহারের পরেও তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।