সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএনপির দফতর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
এতে বলা হয়, ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে রবিবারের মতো সোমবারও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থানকালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহসচিব বলেন, ‘এই হামলা বাকশালী ছাত্রলীগের একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার মতো তারা শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে চায় না।’
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। এই ভয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এখন লাঠিয়ালের ভূমিকা পালন করছে।
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ছাত্রলীগের হাতে বই, খাতা, কলমের পরিবর্তে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কারণেই শিক্ষাঙ্গনগুলো রক্তাক্ত হচ্ছে। তারা নিজেরা মহাচাঁদাবাজ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে। হামলায় জড়িত দুস্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন বিএনপির তিনি।
এদিকে, হামলায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান একথা জানান।
আরও পড়ুন:
ঢাবিতে ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ