বিএনপি কর্মী ‘দল পাগল রিজভী’ মারা গেছেন

রিজভী হাওলাদার
বিএনপির অন্তঃপ্রাণ কর্মী রিজভী হাওলাদার মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। রিজভী বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে ‘দল-পাগল রিজভী’ নামে পরিচিত ছিলেন।
ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী ফেসবুক স্ট্যাটাসে রিজভীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলেন, ‘আজকে (শনিবার) সন্ধ্যায় যখন পার্টি অফিস থেকে বের হলাম তখন আমাকে সামনে পেয়ে বিএনপি অন্তঃপ্রাণ রিজভী ক্ষোভের সঙ্গে বললো, ম্যাডামের জন্য কেউ কিছু করছে না। সব শালারা দালাল। আরও অনেক কথা বললো। তারপর আমি চলে এলাম। কিছুক্ষণ আগে শুনলাম বিএনপি ও খালেদা জিয়ার জন্য অন্তঃহীন ভালোবাসা ধারণ করা রিজভী আমাদের মাঝে আর নেই। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, রিজভীর লাশ তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তার দাফন হবে।

রিজভী হাওলাদার (মাঝে)গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদ জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন প্রায় দিন কারাগারে সামনে রিজভী খালেদা জিয়ার জন্য বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এছাড়া বিএনপির যেকোনও কর্মসূচিতে কখনও নিজের শরীরের লিখে, আবারও কখনও সাদা কাপড় পরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিনি।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রিজভী মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মরদেহ দেখতে যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

জানা গেছে, রিজভীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নে। তবে তিনি থাকতেন নারায়ণগঞ্জে। সেখান থেকেই প্রতিদিন সকালে চলে আসতেন বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কিছু দিলে সেটা খেয়েই দিন পার হতো তার। অনেক সময় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচের ফ্লোরেই ঘুমিয়ে পড়তেন তিনি।