নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুলনিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা গত কয়েক দিনে প্রকাশিত কিছু সংবাদ শিরোনামেই পরিষ্কার।’

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন পেঁয়াজের কেজি ২০০-২৩০ টাকা। গত এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪৩৭ শতাংশ। পেঁয়াজের পাতার দামও ১০০ টাকা। বাজারে এমন কোনও সবজি নেই যার দাম ৮০-১০০ টাকার কম।’ মানুষের ভোটাধিকার আর নাগরিক মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার পর সরকার তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তিও কেড়ে নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণেও ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অবৈধ সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করছে। তাহলে চালের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা, আটার দাম ৫-১০ টাকা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন কী বলবেন। ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিতে বলবেন? ভোজ্যতেলেরও দাম বেড়েছে। তাহলে তেল খাওয়াও কি বন্ধ করে দিতে হবে?’
২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের দামের চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৬ সালে মোটা চালের কেজি ছিল সাড়ে ১৭ টাকা, এখন ৩৪-৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ৮-২০ টাকা ছিল, এখন তা ১৩০-২৩০ টাকা। সয়াবিন তেল ছিল ৪৮-৫৫ টাকা, এখন তা ৮০-১১০ টাকা। গরুর মাংস ছিল ১৪০-১৫০ টাকা, এখন ৫৩০-৫৫০ টাকা। দাম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত ১৩ বছরে জিনিসপত্রের দাম গড়ে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।