গাড়ি বাসার প্রাঙ্গণে পৌঁছামাত্রই সেখানে তার চিকিৎসক, পরিবারের কয়েকজন সদস্য, বোন সেলিমা ইসলাম, দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতা তাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তাকে হুইল চেয়ারে করে গাড়ি থেকে বের করা হয়। বাসার ভেতরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমানসহ অনেকে রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সবার হাতেমুখে সুরক্ষাবস্তু থাকলেও বাইরে ছিল নেতাকর্মীদের উপেক্ষা। চলছিল স্লোগানও। বাড়ির সামনে বুধবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের অবস্থান বাড়তে থাকে। বিকালে খালেদা জিয়া যখন বাড়িতে প্রবেশ করেন, ওই সময় করোনাভীতি উপেক্ষা করে সহস্রাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেয় গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার দলীয় প্রধানের বাসভবন ধোয়ামোছার কাজ শেষ করা হয়। ইতোমধ্যে তার বাসায় পরিবারের সদস্যরা এসেছেন।
প্রসঙ্গত, কারাগারে যাওয়ার আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ফিরোজা থেকেই আদালতের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ওঠেন তিনি। এই বাড়িটি বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলামের ছেলে তানভীর ইসলামের। বাড়িটিতে প্রায় সাতটি বেডরুম, লিভিং রুম, একটি সবুজ লন, বাগানসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে। ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল হোসেন রোডের বাড়িটি আদালতের রায়ে হারানোর পর কিছু দিন খালেদা জিয়া তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাড়িতে ছিলেন। এরপর ফিরোজায় বসবাস শুরু করেন তিনি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এই বাড়ি থেকেই পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে এসেছিলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে সাজা হওয়ায় সেখান থেকে সরাসরি তাকে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।