সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক বিএনপির

বরিশাল বিভাগ বাদে দেশের বাকি সব মহানগর ও জেলায় আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। অপরদিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সদরে আয়োজিত সভায় এই বিভাগের সব জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে যোগদানের আহ্বান করেছে দলটি। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে  চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচির তথ্য জানান। জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল চেষ্টার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের  স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় দেশে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিনটি প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন  বলেন, ‘আল-জাজিরায় প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য জবাব না দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে এড়িয়ে যাওয়ার সরকারি অপচেষ্টার নিন্দা জানানো হেয়েছে সভায়। রিপোর্টে উত্থাপিত তথ্যাদি ও অভিযোগ যুক্তিগ্রাহ্য জবাব তথ্য প্রমাণসহ উপস্থাপন করা সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা কিংবা ব্যর্থতা শুধু সরকারের অপরাধ প্রমাণ করবে না, দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।’

তিনি  বলেন, ‘‘আল-জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে তারেক রহমান, হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।  জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব কেড়ে নেওয়ার সরকারি অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জামুকার সভায় এখতিয়ার বহির্ভূত ও অযাচিতভাবে এমন প্রস্তাব গ্রহণের জন্য দায়ীদের অবশ্যই একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন  বলেন, ‘সভায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা, মানববন্ধন কর্মসূচিতে আক্রমন, মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। সভায় মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের আশু মুক্তির জন্যও জোর দাবি জানানো হয়।’