করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের উদাসীনতা ও ব্যর্থতায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় করোনাভাইরাস মহামারি এখন আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতি দিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে আগের বছরের মতোই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে সরকার।’

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।

দলের কেন্দ্রীয় দফতর বিভাগ থেকে এমরান সালেহ প্রিন্সের সই করা বিবৃতিতে ফরিদপুরের সালথায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নামে-বেনামে চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও এরইমধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ফখরুল। তার অভিযোগ, বিএনপি সালথার ঘটনায় কোনোভাবেই যুক্ত না থাকলেও হয়রানি করা হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মনে করেন, পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধে সরকার কোনও চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য দেশে লকডাউন/নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত লকডাউনের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রকৃত অর্থে লকডাউন বলতে যা বোঝায়, রাস্তাঘাটে তার কোনও সামান্যতম চিত্রও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’

‘কেবলমাত্র দেশের বড় বড় মার্কেট, শপিং মল ছাড়া সবকিছু খোলা রাখা হয়েছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বড় বড় ব্যবসায়ীসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে  দেশের সব দোকানপাট, শপিং মল ও বিপনি বিতানগুলো খুলে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

এদিকে, পৃথক আরেক বিবৃতিতে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ সালথার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে বেনামে চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং এরইমধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতার ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।