‘ভারত থেকে টিকা না আসলে আইনের আশ্রয় নিতে হবে’

অবিলম্বে মূল্য পরিশোধিত ভ্যাকসিন সরবরাহে ভারত সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটি। সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অবস্থানের কথা জানান। শনিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘ভারতে সংক্রমণের হার মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পশ্চিম বাংলায় নতুন মারাত্মক ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ রোধের জন্য ইতোমধ্যে ভারতের আসাম ও উড়িষ্যা, পশ্চিম বাংলার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছে। সরকার আজ থেকে ১৪ দিন স্থলপথের সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

টিকা প্রসঙ্গে ফখরুল জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকার আর্থিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারিভাবে আমদানি না করে, পছন্দ মতো চিহ্নিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে টিকা আনার দায়িত্ব দিয়েছে। ভ্যাকসিনের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও এখন পর্যন্ত দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। সরকার এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ভ্যাকসিনের জন্য, অথচ এক বছর আগেই বিএনপি এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এবং সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনে বিপর্যস্ত দরিদ্রপীড়িত মানুষের পাশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব স্তরের নেতৃবৃন্দ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে সরকার প্রায় ২০ জন মানুষকে গুলি করে হত্যার পর চিরাচরিত কৌশলে বিরোধী দল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। নেতাকর্মীরা কেউ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না। এরপরেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপিসহ সব স্তরের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।