খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা না করার আহ্বান বিএনপির

‘খালেদা জিয়ার কোভিড পরবর্তী জটিলতা নিরসন হলেও বর্তমানে তিনি লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় তীব্র অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন’ বলে জানিয়েছে বিএনপি। তাকে  মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় দলটি।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রদত্ত ‘ক্ষমা চেয়ে বিদেশে চিকিৎসা চিকিৎসার নেওয়ার সুযোগ আছে খালেদা জিয়ার’ শীর্ষক বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।

এমরান সালেহ প্রিন্স জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আরও উন্নত সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ। আপনারা জানেন, তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময় তার স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি কতটা জটিল এবং শোচনীয় ছিল তা তার চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।’

প্রিন্সের অভিযোগ, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, ভয় পায় তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বকে। এজন্যই ফরমায়েশি রায়ের ওপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় সরকার।

বিএনপি নেতা প্রিন্স বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। ক্ষমতা জবরদখলকারী সরকারের মন্ত্রীরা রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলসহ বিরোধী দল ও জনগণকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র করছে। এটি জনগণ বরদাশত করবে না।’