বিএনপির নয়, দেখার দায়িত্ব সরকারের: মির্জা ফখরুল

করোনায় বিএনপিকে দেখা যায় না‑ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক মন্ত্রীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ওরা (সরকার) বলে যে, বিএনপিকে দেখা যায় না। বিএনপির দেখার দায়িত্ব না, দেখার দায়িত্ব সরকারের’।

সোমবার (২ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই জবাব দেন। লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে জেলার কোভিড-১৯ সহায়ক কেন্দ্র উদ্বোধন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেখার দায়িত্ব ওবায়দুল কাদের সাহেবের, হাসান মাহমুদ সাহেবের। আপনারা যে জনগণের সঙ্গে থেকে তাদের সহযোগিতা করছেন, ত্রাণ দিচ্ছেন, এই কষ্টের দিনে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন‑ দেখি না তো।’

নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। আমাদের জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, আমাদের দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি তারা মানুষের সঙ্গে থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করছেন। বিএনপি জনগণের পাশে আছে, পাশে দাঁড়াচ্ছে।’

লকডাউন প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে কয়দিন পরে গণপরিবহন ছেড়ে দিলো, ঈদ আসলে ছেড়ে দিলো। তারপরে শ্রমিকদের ছুটি দিলো। তারা ঈদের আগে ছুটিতে চলে গেলো। সাতটা দিন এভাবে তারা সংক্রমণ গ্রামের দিকে আরও বেশি করে পাঠিয়ে দিলো।’

‘সীমান্ত আমরা বন্ধ করতে বলেছিলাম কারণ ভারতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট বাড়ছে। সেইভাবে সরকার বন্ধ করলো না’ ‑ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে ট্রাক আসলো, চালক-সহকারীরা আসলো, তারা এই পাশে থাকলো, সংক্রমণ বাড়িয়ে দিলো। সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে গেলো।’

হঠাৎ করেই গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় নিন্দা জানান ফখরুল। শ্রমিকরা হেঁটে, নানা যন্ত্রণাভোগ করে কারখানামুখী হওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি তৃতীয়বারের মতো মন্তব্য করেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যারা এসব সিদ্ধান্ত দেন তারা সব পাবনা হেমায়েতপুর থেকে এসেছেন।”

ফখরুলের অভিযোগ, এরকম হওয়া সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা নয়, এটা পরিকল্পিত।

তিনি বলেন, ‘তারা তো বলেই যে, বাংলাদেশে ৫ লাখ লোক, ১০ লাখ লোক মরে গেলে কি হবে। দেশে এতো মানুষ ‑ এই হচ্ছে এই সরকার। যাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই, যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে রাজনৈতিকভাবে। এখন তারা মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।”