গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে অত্যন্ত সংগঠিত বিএনপি। সামনের বছর ও তার পরের বছর নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বিএনপি।’

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপি এবং দলটির নানা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নেতারা।

সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্যকালে ফখরুল অভিযোগ করেন, আজকের অনুষ্ঠান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ‘ত্রিশজনের বেশি আসা যাবে না। এটা নাকি আরও বড় নিরাপত্তার অধীনে চলে গেছে।’

রাজনীতিতে বিএনপির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ৪২ বছরে বিএনপি দেশের রাজনীতিতে আমূল ও মৌলিক অবদান রেখেছে। একদলীয় স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে একদলীয় শাসনব্যবস্থার ফলে বাক স্বাধীনতা ছিল না দেশে। মানুষের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল কাঠামো তিনি তৈরি করেছেন। অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছেন জিয়াউর রহমান। মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা তিনি করেছিলেন। তার হাত ধরেই আজকের অর্থনীতির।’

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, প্রশাসন, বিচারবিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। ছদ্মবেশী স্বৈরাচারী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো। সীমিত পরিসরের মধ্যেও বিএনপি নিজের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে।’

বক্তব্যে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন ফখরুল।

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যায় না।’

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।