বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলা করার চিন্তা করছেন। দলের দায়িত্বশীলরা এ নিয়ে বৈঠক করবেন। মামলা হলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আসামি করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন নাসিম।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের নির্দেশে টোকাইদের দিয়ে বিএনপি কার্যালয় দখল করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে কামরুল হাসানের সমর্থকরা জিয়াউর রহমানের নামে স্লোগান দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন সামনে থাকা ঢাকা মেট্রো ন-১১-৯৩৭১ নম্বরের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এটি ‘আসল বিএনপি’র সাংস্কৃতিক মহড়ার গাড়ি ছিল। পরে পুলিশ আসার আগেই দুই পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
কামরুল হাসান নাসিম এ বিষয়ে বলেন, রিজভী তো সরকারের সঙ্গে আপোষ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে। নেত্রীর চোখে পড়ার জন্যই এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। এটা তো বিএনপি-বিএনপির সমস্যা। এতে করে সরকার সুযোগ নেবে।
নাসিম বলেন, ‘রিজভী রাকসু-ডাকসুর কথা বলতে পারে। কিন্তু তার জেনারেল শিক্ষা নেই। তিনি তো জাতীয়তাবাদী দলের চাকরি করেন। তার ব্যাপারে মন্তব্য করার অভিরুচি আমার নেই। তার তো শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপন আঁতাত আছে।’
নাসিম জানান,‘‘আজকে তো কেউ কার্যালয় দখল করার জন্য যায়নি। তারা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মহড়া দিচ্ছিল। আমার স্বরচিত ‘এসো কান্না করি’ কবিতার আবৃত্তি মাইকে বাজছিল। আর আমি কার্যালয় দখল করতে গেলে তো বলে-কয়ে যাব। আমি তো ভেসে আসি নাই।”
কামরুল হাসান নাসিম তার কার্যক্রমকে বিএনপির পুনর্গঠনের কার্যক্রম হিসেবে দাবি করেন। তার মতে, এটা কোনও ভাবেই আসল বিএনপি নয়। তিনি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ঊর্ধ্বে তুলতেই দল পুনর্গঠনের কাজে হাত নিয়েছেন। তার পুনর্গঠনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী উচ্চ আদালতের শুনানি হবে নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে।
রবিবার সাংস্কৃতিক মহড়ায় ব্যস্ত পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ায় আসল বিএনপি-পুড়ল কী না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কামরুল হাসান বলেন, ‘দেখুন, আপনারা বিষয়টিকে বারবারই এমন করে দেখছেন। আমি সব সময় বলে এসেছি আমরা দখল-টখল না, বিএনপির পুনর্গঠনের কাজে ব্যস্ত।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সাগরে দু-একটি ঢিল পড়লে সাগরের তো কিছু আসে যায় না। এটা ইমেজ নষ্ট করতেই কেউ কেউ কাউকে-কাউকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এগুলো বুঝে না, দুষ্টুমি করে।
পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপি একটি গঠনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তো কেউ প্রতিবাদ করলে বা ঢিল ছুড়লেও ভোটের রাজনীতির কারণে অনেক কিছু থেকে বিরত থাকতে হয়। যারাই আগুন দিয়েছে এটা সঠিক হয়নি। আমি সরকারকে বলব, এটা নিয়ে যেন অপরাজনীতি না হয়।
/এসটিএস/এনএস/টিএন/