খালেদা জিয়া আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন: ইকবাল হাসান মাহমুদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, কে বলে বিএনপি আন্দোলন করে না। বিএনপি আন্দোলন করে বলেই ৩৫ লাখ মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ দেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন হবে, নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি’র ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি এলডিপি একাংশের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। দলের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘চারদিকে ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। একটা সময় আমরা ডাক দিয়েছি। তখন রিকশাওয়ালা, দোকানদার মাঠে নেমে আসতো, এখন আর সেই অবস্থা নেই।’

সম্প্রীতি মিছিলেও সরকার বাধা দেয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমরা সম্প্রীতির মিছিলও করতে পারি না। সেখান থেকেও গ্রেফতার করা হয়। আজকে আন্দোলন করা খুব কঠিন হয়ে গেছে।’

তিনি যোগ করেন, এখন আন্দোলনে নামার আগে ভয় চাপে, যদি আমি গুলিবিদ্ধ হই কিংবা গ্রেফতার হই, তাহলে আমার পরিবারের কী হবে।

টুকু বলেন, ‘তারা সেক্যুলারের কথা বলে মন্দিরে কোরআন রাখার নাটক সাজায়। আমি বিশ্বাস করি না কোনও হিন্দু কোরআন রাখতে পারে। কোরআন রাখে যারা ক্ষমতায় যেতে চায়।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, রাজপথে নেমে ফিরে আসার সুযোগ নেই। আমাদের নেতা তারেক রহমান খুব ভেবেচিন্তে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না, রাজপথে আন্দোলন করতে হবে এবং দেশ দখল করলে তবেই বিদেশিরা সহযোগিতা করবে। আন্দোলন ছাড়া এই সরকারকে হটানো যাবে না।’

সভায় এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘২০ দলীয় জোটে থেকে কোনও নেতা যদি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলে, তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখে, সেই নেতাকে ২০ দলীয় জোট থেকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করার জন্য আমি প্রধান অতিথির (ইকবাল হাসান মাহমুদ) কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

সেলিম বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বৃহত্তর আন্দোলনের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার জন্য একটা বৃহত্তর আন্দোলন দরকার। এই বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে সব দলকে, সব শক্তিকে, সব মতামতকে এক মঞ্চে আনতে হবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া এলডিপি নেতা আবদুল গনি ও  এমএ বাশার সভায় উপস্থিত ছিলেন।