পুলিশকে অযথা কষ্ট করানো হচ্ছে: মির্জা আব্বাস

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী-পুলিশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকগুলোকে অযথা কষ্ট দেওয়া ও পরিশ্রম করানো হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জাতীয়তাবাদী যুবদল এর ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুবদল একটি বড় সংগঠন। নব্বইয়ের গণআন্দোলনে এই সংগঠনের ভূমিকা অনেক। আজকে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতাকর্মীদের এখানে (মাজারে) আসতে দেওয়া হয়নি।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখানে দায়িত্বরত গণমাধ্যমকর্মী ও অনুষ্ঠানে আগত জমায়েতের চেয়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য  দ্বিগুণ। এটা কী হচ্ছে; আমাদের টাকার অপচয় হচ্ছে, লোকগুলোকে পরিশ্রম করানো হচ্ছে।’

‘পুলিশের লোকগুলোকে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকগুলোকে খামোখা কষ্ট করানো হচ্ছে। বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে,’—যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

কেন ভয় দেখাবে সরকার, এমন প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকার মনে করে আওয়ামী লীগকে তাড়ানোর জন্য বিএনপিই যথেষ্ট।’

‘তিন কারণে দেশে দাঙ্গার চেষ্টা হচ্ছে’

দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপসনালয়ে হামলার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই যে মন্দিরে হামলা বা সাম্প্রদায়িক হামলা সৃষ্টি করা; আসলে এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওদের যে উদ্দেশ্য সেটা ওরা পূরণ করার চেষ্টা করছে।’

কী উদ্দেশ্য, এ প্রসঙ্গে আব্বাসের মন্তব্য, ‘বিএনপিকে একটি সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরা। দ্বিতীয়ত, ভারতে নির্বাচন চলছে, সে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে, সেই নির্বাচনেও প্রভাব ফেলা।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এটা মোটেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, বাংলাদেশে অন্তত না। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে ভারতে, এখন যেটা হচ্ছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। অন্যায়ভাবে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, বিএনপিকে জড়াবে এবং সেটাই হলো।’

এ সময় যুবদলনেতা সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।