জিয়াউর রহমানের অবদান আ.লীগ স্বীকার করবে না: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার জিয়াউর রহমানের সব অবদানের বিরোধিতা করছে। জিয়াউর রহমান জাতীয় স্বার্থের যে বিষয়গুলো নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন, অনেক ক্ষেত্রে তারা সেগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে অন্য নামে ওই কাজগুলোই করে যাচ্ছেন।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হল রুমে জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজকে মৌলিক যে তিনটি বিষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ‑ তার একটি হলো কৃষি। কৃষি আজকে স্বনির্ভর বলে আমরা অর্থনীতিতে অগ্রসর হচ্ছি। এটা শুরু কে করেছিলেন,  শহীদ জিয়াউর রহমান। কৃষির পরে বৈদেশিক রেমিট্যান্স হলো আরেকটি অর্থনৈতিক স্তম্ভ। জিয়াউর রহমান প্রথম সংঘবদ্ধভাবে বিদেশে শ্রমিক রফতানি করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে গার্মেন্টস ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করেছিলেন। গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠায় তিনি সহজ ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন ‑ এখন এগুলো যদি আওয়ামী লীগ স্বীকার করে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের অর্থনীতির আরেকটি স্তম্ভ হলো ভ্যাট, এটা চালু করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এর বিরোধিতা করে আওয়ামী সে সময় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে গিয়েছিলো, হরতাল করেছিল। আজকে এই ভ্যাটকে বর্তমান সরকার এমনভাবে সম্প্রসারিত করেছে যে ‑ গরিব, কৃষক, ভিক্ষুক, রিকশাচালক সবাইকে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই সরকারই স্বীকার করবে না কোথা থেকে এর শুরু।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নির্যাতন, দুর্নীতির পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতি কী আচরণ করছে কোনও সভ্য দেশ এটা কল্পনাও করতে পারে না। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। কোনও দেশে স্বৈরাচার সরকার টিকে থাকতে পারেনি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম মারুফ হোসাইনসহ আরও অনেকে।