দ্রুত চিকিৎসা না দিলে খালেদা জিয়াকে বাঁচানো যাবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া। চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা না দিলে তাকে বাঁচানো যাবে না।’

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে দেশবাসী যখন সোচ্চার, বাজার-বন্দর-হাট-ঘাট-চায়ের দোকান, গণমাধ্যম-সোশ্যাল মিডিয়া-রাজপথে প্রতিবাদী মিছিলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে একাট্টা; তখন মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে নতুন নতুন নাটক তৈরি করা হচ্ছে।’

বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার প্রশ্ন নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অশোভনীয় বিতর্ক অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘায়িত করছে আইনমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়া একজন সত্তরোর্ধ্ব বর্ষীয়ান জাতীয় নেত্রীর গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে সরকারের টালবাহানা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, খালেদা জিয়ার কিছু হলে কেউ রেহাই পাবেন না। জনগণের টর্নেডো আন্দোলনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবেন আপনারা। আপনাদের অস্তিত্ব জনগণের মন থেকে মুছে যাবে। তাই আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘অবৈধ সরকারের মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিএনপি তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় করাই ছিল তার একমাত্র কাজ। খিস্তিখেউড়ে তথ্য-প্রতিমন্ত্রী মুরাদ তার সিনিয়রদের অতিক্রম করে দিনে দিনে দুর্বিনীত হয়ে উঠেছিল। ভব্যতা-সভ্যতার সব সীমা অতিক্রম করে মুরাদ জনগণের সামনে দানবের মতো আবির্ভূত হয়েছে। এরা আমাদের সমাজে বসবাস করবে, কিন্তু তাদের আচরণ, চলাফেরা ও কথাবার্তায় প্রতিফলিত হয় কুরুচি, বিবেকবর্জিত ও নারীবিদ্বেষ। তাহলে সেই সমাজে কত বিষাক্ত নৈরাজ্য তৈরি হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।