‘বিএনপি দায়িত্ব পালন না করলে জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার দায়িত্ব বিএনপির আছে। তবে বিএনপি দায়িত্ব পালন না করলে জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, তা কিন্তু নয়। কারণ, সেটা প্রমাণ হয়েছে একাত্তরের যুদ্ধে। একাত্তরে আওয়ামী লীগের আগে কিন্তু দেশের জনগণই এই যুদ্ধে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর রুনি মিলনায়তনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত ‘সীমান্তবর্তী এলাকা ও ফেলানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ ফেলানীর মতো কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই বর্ডার ক্রস হয়, কিন্তু কাউকে হত্যা করা হয় না। প্রয়োজনে তাকে জেল দেওয়া হয় বা বিচারের আওতায় আনা হয়, কিন্তু হত্যা করা হয় না। এ পর্যন্ত যত সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা কিন্তু বাংলাদেশ সীমানার ১০০ থেকে ১৫০ গজের ভেতরে হয়েছে। যারা নিহত হয়েছে, তারা যদি বর্ডার ক্রসই করতো তাহলে লাশ কেন সীমানার ভেতরে?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে জেল দিয়েছেন। জামিন দেন নাই, চিকিৎসা দেন নাই। ঠিক এমনটাই যদি অনুরূপভাবে আপনার বিপরীতে যারা আছেন, তারা যদি আপনার সঙ্গে করেন, তাহলে ভবিষ্যৎটা কেমন ভয়াবহ হবে, চিন্তা করেন। সে কারণেই বলবো, সহজ পথে আসেন এবং সহজভাবে চলেন।’

দেশের মানুষ আরেকটি একটি যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই যুদ্ধের যে ডাক দেবে, তার কথার ওপর ভিত্তি করে জনগণ মাঠে নামবে। আর এই মুক্তির ডাক দেবে বিএনপিই। হয়তো আমাদের আগামী নেতাই একসময় যুদ্ধের ডাক দিয়ে বলবেন, গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। বাংলাদেশটাকে ফেলানীর মতো কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলতে দেওয়া যাবে না।’

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রাকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।