এক-এগারোর সরকার দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে দিয়েছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এক-এগারোর বেআইনি সরকারের  মূল লক্ষ্য ছিলো দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করা। দুই বছর দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ১/১১ এর বেআইনি সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দিয়ে একটি পাতানো ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরই বশংবদ আরেক দুর্বৃত্ত লুটেরাগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেছে।’

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

এসময় তিনি উল্লেখ করেন, দুইদিন আগে ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভিশপ্ত ভয়ংকর কালো দিবসের পনের বছরপূর্তি। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অসাংবিধানিক তথাকথিত এক সরকার ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল। গণতন্ত্র হত্যা, মানুষের অধিকার হরণ করে দেশকে নিক্ষেপ করেছিল একটা অন্ধকার গহ্বরে।

রিজভীর দাবি, দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার জন্য দীর্ঘ দিনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন গং-এর তথাকথিত অবৈধ সরকার। বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে সংবিধানসম্মত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে উৎখাত করে বেআইনি সেনা সমর্থিত সরকার গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের চিরকালীন পথরেখায় চলমান নন্দিত একজন নেত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বহুসংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করা হয়। এক-এগারোর যে তাণ্ডব, বিরাজনীতিকরণের যে তাণ্ডব তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তার পরিবার।

বিএনপিনেতা রিজভী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেন’ ষড়যন্ত্রের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বর্তমানের নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলেছেন, কথিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ তাদের আন্দোলনের ফসল।