ইসি আইন করেও শেষ রক্ষা হবে না: ফখরুল

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন করেও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভাবছে নির্বাচন কমিশন আইন করে বেঁচে যাবে। বাকশাল করেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি, নির্বাচন কমিশন আইন করেও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনের ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এই আইন পাস করার এখতিয়ার এই সরকারের নেই। কারণ এই সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোনও সংসদ নয়। সুতরাং এই আইন শুধু আমাদের কাছে নয়, সারা দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন আমরা মানি না। এই হাসিনা সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা আবার বাকশালে ঢুকতে চাই না। আমরা বলেছি পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের পত্রিকায় বেরিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খবর, আমরা কয়েক দিন আগে স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করে রেজুলেশন দিয়েছি। গত ২৫ তারিখে আমরা যে সংবাদ সম্মেলন করেছি সেখানে বিষয়টি এনেছি, আমাদের নজরে পড়েছিল। আমরা পরিষ্কারভাবেই এখনও দাবি করেছি তখনও দাবি করেছি—এই বিষয়টার সুষ্ঠু তদন্ত করে জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক। জমির দাম ২০ গুণ বাড়িয়ে ৩৬৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। ডিসি সেটা বলেছে। 

তিনি বলেন, দেশে চরম অনিয়ম হচ্ছে। জড়িতদের কিচ্ছু হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব লুটপাট করে নিয়ে গেলো। মন্ত্রী স্বাক্ষর করলেন, তার উপস্থিতিতে সই হলো রিজেন্ট গ্রুপের সঙ্গে কি হয়েছে তার? মন্ত্রিত্বে বহাল তবিয়তে আছেন। চতুর্দিকে লুটপাট করে দেশকে একদম ফোকলা করে দিয়েছেন। সেই দেশ এখন রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।